কারস্টেন রাইট-এর পরিলেখ এবং প্ল্যাটফর্ম

পরিলেখ

কারস্টেন রাইট:Organization for Transformative Works – OTW (রূপান্তরাত্মক কর্মের সংস্থা)’র সংযোগ সমিতির সদস্য কারস্টেন একজন প্রাক্তন অধ্যাপকের কথায় ২০১৪ সালে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে OTW’র ফেসবুক পাতা, লাইভজার্নাল এবং ড্রিমউইড্থ অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করেন। তিনি আগে OTW’র টুইটার অ্যাকাউন্ট আর ফ্যানলোরের টুইটার এবং টাম্বলার অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করতেন। কারস্টেন সদ্য কিশোরী বয়সে প্রথম সাজানো ভক্তদুনিয়ার সংস্পর্শে আসেন। তাঁকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। ভক্তদুনিয়া, জীবনের নানা সময়ে, তাঁর শিক্ষক এবং বন্ধু হিসেবে কাজে লেগেছে। শেষপর্যন্ত, এর মধ্যে দিয়েই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্যাম্পেনের জগতে তাঁর কর্মজীবন তৈরি করেছেন। যদিও তিনি তাঁর পছন্দের ভক্তদুনিয়া ঘনঘন পাল্টাতে থাকেন, কিন্তু তিনি “দি সোশাল নেটওয়ার্কের” জন্যই বেশি ভক্তসাহিত্য লিখেছেন। দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কিত কাহিনী তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তাঁকে নিশ্চয় একাধিক বার কর্মদিবসের আগে মাঝরাতে ২ লক্ষাধিক শব্দের ভক্তকাহিনী খুলতে দেখা গেছে।

প্ল্যাটফর্ম

১. আপনি পরিচালন সমিতির নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

OTW’র সাথে কাজ আমায় প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। আমি প্রায় পাঁচ বছর ধরে এখানে কর্মী হিসেবে কাজ করছি, আর আমার কাজটা রুটিনের পর্যায়ে চলে এসেছে। একইসঙ্গে, ভক্তদুনিয়ার বাইরে আমার কাজের বাঁধাধরা সময় না থাকলেও তা আমায় প্রচুর ফাঁকা সময় দেয়। অনেক ভাবনাচিন্তার পর, আমি ঠিক করেছি যে এই সময়টা OTW’র সাথে আরও জড়িয়ে পড়লেই ভালভাবে কাটানো হবে।

২.পরিচালন সমিতিতে আপনি কি কি দক্ষতা এবং/বা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবেন?

আমি যেহেতু আমাদের সবকটা সোশাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছি এবং আমাদের সংবাদমাধ্যমে প্রচার বিভাগেরও অংশ, OTW সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কি কি চিন্তা এবং প্রশ্ন থাকতে পারে, সেই বিষয়ে আমার সম্যক ধারণা আছে। আমি সাংবাদিক এবং ভক্ত, উভয়ের সাথেই কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস এটা আমাকে এক অনন্য পরিপ্রেক্ষিত দিয়েছে।

তার উপর, আমার জীবনের পটভূমি বিচিত্র। আমি প্রচুর, বিভিন্ন ধরণের কাজ করেছি – বিবাহ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে রাজনীতি অবধি। আমি গবেষণা থেকে আরম্ভ করে অর্থসংগ্রহ থেকে অনুষ্ঠান পরিকম্পনার মতো কাজ করেছি এবং তার ফলে আমার বিবিধ গুণ ও দক্ষতা লাভ হয়েছে। তা ছাড়াও আমি ভীষণ গোছানি মানুষ। আমার প্রচুর ছোট ছোট দরকারী জিনিস সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার ক্ষমতা আমাদের লক্ষ্যপূরণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

৩.OTW এর কাজের মধ্যে একটি বা দুটি লক্ষ্য বাছুন যেগুলো আপনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং যা নিয়ে আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক। আপনি এই লক্ষ্যগুলোকে কেন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন? এবং আপনি কি করে অন্যদের সাথে কাজ করে এই লক্ষ্যগুলো পূর্ণ করবেন?

OTW Archive of Our Own – AO3 (আমাদের নিজস্ব সংগ্রহশালা)-এর জন্যই বিখ্যাত, আমাদের অন্যান্য প্রকল্পগুলো কম সুবিদিত। AO3’র প্রচুর অনিয়মিত ব্যবহারকারীদের OTW’র সাথে নামমাত্র পরিচয় আছে, বা একদমই পরিচয় নেই। আমি OTW’র সব প্রকল্প, লক্ষ্য, এবং ভক্তদুনিয়ার কাছে তাদের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে চাই। তার সাথে, সংস্থা হিসেবে OTW কে নিয়েও সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করতে চাই।

আমি যদিও লেখাপড়ার জগৎ থেকে ভক্তদুনিয়ায় আসিনি, শেষপর্যন্ত আমি ওইভাবেই OTW’র সাথে জড়িয়ে পড়ি: ভক্তদুনিয়া-বিদ্যা নিয়ে বেশ কয়েকটা ক্লাস করার পর আমার অধ্যাপক আমায় OTW’র কর্মী হিসেবে যোগ দিতে পরামর্শ দেন। এই অভিজ্ঞতাটা ভক্তদুনিয়ার সাথে আমার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই বদলে দিয়েছে। তা নিজের কাছে চাপা রাখার মত কিছুর থেকে পড়াশোনা করা উচিত এমন একটা বৈধ কৌতূহলে বদলে দিয়েছে। আমি অন্যদের কাছেও সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে চাই।

আগে, আমি দুটো সমিতির মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছি। সেখানে আমি কিভাবে শুনতে হয় তা শিখেছি, এবং প্রত্যেকটা সমিতিই তাদের লক্ষ্যপূরণ করতে পারবে তা কিভাবে নিশ্চিত করতে হয় তা শিখেছি। আমি এই অভিজ্ঞতাটাই আরো বৃহদাকারে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চাই। সেখানে আমি প্রয়োজনমত সমিতিগুলির লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করতে কাজ করে যাব। আমি দেখেছি যে ছোট ছোট সমস্যা সাধারণত বড় বড় লক্ষ্যগুলোর দিকে তাকাতে গিয়ে অবহেলিত থেকে যায়। কিন্তু, অনেক সময়ই এই একক সমস্যগুলোই সব থেকে বড় বাধা তৈরি করে। সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া পুরো সংস্থার সাফল্যরই সহায়ক হবে।

৪.OTW’র বিভিন্ন প্রকল্প সম্বন্ধে আপনার অভিজ্ঞতা কি? আপনি কিভাবে প্রাসঙ্গিক সমিতিগুলোর পাশে দাঁড়াবেন এবং তাদের আরো শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করবেন? আপনার উত্তরে বিভিন্ন প্রকল্প অন্তর্ভু‌ক্ত করার চেষ্টা করুন; যদি কোনো প্রকল্পে আপনার বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকে তাতে আপনি জোর দিতে পারেন।

আমি সংযোগ সমিতির সাথে ফ্যানলোরের যোগাযোগ হিসেবে এক বছর কাটিয়েছি। সেই সময়ে, দুটো দলই যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলাম। তখন ফ্যানলোরের হয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগও সামলেছি।

ব্যাক্তিগত ভাবে, কথ্য ইতিহাসের প্রতি ফ্যানলোরের আত্মোৎসর্গ আমি সত্যি প্রশংসনীয় বলে মনে করি। ভক্তকর্ম যদিও অনেক সময়ই নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম, ভক্তদুনিয়াটা কিভাবে গড়া হয়েছিল তার অনেকটাই ভুলে যাওয়া হয়। ইন্টারনেট আসার আগে ভক্তদুনিয়া কেমন ছিল, বিশেষ করে আমার জন্মের আগে, তা নিয়ে গল্প শুনতে আমার ভাল লাগে।

ইন্টারনেট যদিও চিরকালীন, তা ক্ষণস্থায়ীও বটে। ফ্যানলোরের মতো ওয়েবসাইট না থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস বিস্মৃত হত।

এই কথাপ্রসঙ্গেই আমরা Open Doors(খোলা দরজা)-য় আসি। তত্ত্ব-কথায় ইন্টারনেট চিরন্তন, কিন্তু ওয়েবসাইট তা নয়।খোলা দরজা বন্ধ হতে চলা ওয়েবসাইট থেকে গল্প নিয়ে আসায় আত্মোৎসর্গ করার ফলে আমি সময়কালে পিছিয়ে গিয়ে এমন সব গল্প পড়তে পারি যেগুলো আমার মা যখন আমার থেকেও ছোট তখন লেখা।

আগেই বলেছি, আমি শিক্ষিত ভক্ত নই। অবশ্য আমি ভক্ত বিদ্যার সাথে খুব একটা কম সময় কাটাই নি। আমি এই নিয়ে কর্মজগতে প্রবেশ না করতে চাইলেও,Transformative Works and Cultures – TWC(রূপান্তরাত্মক কর্ম এবং সংস্থা)-এর প্রতিবেদন পড়তে আমার ভালই লাগে।

প্রত্যেকটি প্রকল্পের পিছনে থাকা সমিতির সঙ্গে আমি তাদের কাজ আরো আলোকিত করে তুলতে কাজ করতে চাই। OTW যে AO3’র থেকে বড় সে সমন্ধে আমি সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই, আর তা করতে গেলে আমাদের অন্যান্য প্রকল্পগুলোকে দৃশ্যপটে আনতে নতুন এবং উদ্ভাবনী উপায় খুঁজতে হবে।

৫.OTWতে আপনার অন্যান্য ভূমিকা এবং পরিচালন সমিতির কাজের মধ্যে আপনি কিভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন, অথবা শুধু পরিচালনা সমিতির কাজেই মনোনিবেশ করার জন্য OTWতে আপনার বর্তমান ভূমিকাগুলো আপনি কিভাবে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছেন?

বোর্ডে নির্বাচিত হলেও যোগাযোগ সমিতিতে আমার মূল কাজগুলো আমি চালিয়ে যেতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। আমার দৈনন্দিন জীবনের সাথে আমার বর্তমান কাজ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সুতরাং আমার মনে হয় না সেটায় কোনো সমস্যা হবে।